⚖️ পশ্চিমবঙ্গে ওবিসি তালিকা নিয়ে চরম টানাপোড়েন, মুখ্যমন্ত্রীর তোপ
📅 প্রকাশের তারিখ: ১৯ জুন ২০২৫
🖊️ প্রতিবেদন: নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতা
ওবিসি (অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি) তালিকা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে ফের তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক উত্তেজনা। কলকাতা হাই কোর্টের সাম্প্রতিক এক রায়ে রাজ্য সরকারের ২০১০ সালের পর সংযোজিত ওবিসি তালিকার কিছু অংশ অস্থায়ীভাবে বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।
🏛️ আদালতের পর্যবেক্ষণ
হাই কোর্ট জানিয়েছে, ২০১০ সালের পর যেসব সম্প্রদায়কে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তা সাংবিধানিক নিয়ম ও সুপারিশ ছাড়াই হয়েছে বলে প্রতীয়মান। আদালত এই প্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেও উল্লেখ করেছে। ফলে অন্তত ৭৭টি সম্প্রদায়কে আপাতত তালিকা থেকে বাদ দিতে বলা হয়েছে।
🗣️ মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাষায় বলেন, “আমরা সংবেদনশীলভাবে গরিব ও পিছিয়ে পড়া শ্রেণির পাশে আছি। জাতি বা ধর্ম নয়, মানুষের অধিকারই মুখ্য। কিছু রাজনৈতিক শক্তি ষড়যন্ত্র করে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।”
তিনি দাবি করেন, রাজ্য সরকার জাতিগত সমীক্ষা ও কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে তালিকা তৈরি করেছে, এবং বিজেপি ঘনিষ্ঠ সংগঠনগুলি ইচ্ছাকৃত মামলা করে জনস্বার্থে বাধা সৃষ্টি করছে।
🎙️ বিরোধী শিবিরের বক্তব্য
বিরোধী নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এই তালিকা ভোটের রাজনীতি ছাড়া কিছুই নয়। হাই কোর্টের রায় অনুযায়ী, রাজ্য সরকারকে নতুন করে প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে।”
⚖️ কেন্দ্র বনাম রাজ্য: নিয়ম অনুযায়ী কে ঠিক?
রাজ্য সরকার ওবিসি তালিকা তৈরি করতে পারে বটে, তবে তা করতে হবে জাতীয় গাইডলাইন অনুসরণ করে। বিজেপির অভিযোগ, এই প্রক্রিয়ায় নিয়ম মানা হয়নি। আদালতের পর্যবেক্ষণও সেদিকেই ইঙ্গিত করছে।
📉 সাধারণ মানুষ কতটা প্রভাবিত?
এই রায়ের ফলে বহু ছাত্রছাত্রী ও চাকরিপ্রার্থীর ওবিসি সার্টিফিকেট অনিশ্চিত হয়ে গেছে। কেউ কেউ ইতিমধ্যে এই সার্টিফিকেটের মাধ্যমে শিক্ষা ও চাকরিতে সুবিধা পেয়েছেন। তালিকা থেকে বাদ পড়লে তা ফেরত নেওয়ার সম্ভাবনাও দেখা দিয়েছে।
📌 সরকারের পরবর্তী পদক্ষেপ
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার নতুনভাবে পর্যালোচনা করে তালিকা তৈরি করবে এবং মানুষের অধিকার যাতে খর্ব না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।
🔚 উপসংহার
ওবিসি তালিকা নিয়ে এই বিতর্ক শুধুই রাজনৈতিক নয়—এর গভীরে রয়েছে সাধারণ মানুষের জীবনের সঙ্গে যুক্ত বহু বাস্তব সমস্যা। আদালতের রায়, সরকারের প্রস্তুতি ও বিরোধীদের সমালোচনার মধ্যে দিয়ে বিষয়টি আগামী দিনে আরও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে।
