🔶 বর্ষার আগে রাজ্যে ডেঙ্গি নিয়ে সতর্কতা, আক্রান্ত ১১৫: কী বলছে স্বাস্থ্য দপ্তর?
🗓️ তারিখ: ১৯ জুন ২০২৫ | 📍 প্রতিবেদন: কলকাতা
বর্ষাকাল এলেই রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গি আতঙ্ক নতুন কিছু নয়। তবে ২০২৫ সালের শুরুটা কিছুটা স্বস্তিদায়ক হলেও প্রশাসনের নজর রয়েছে সম্ভাব্য সংক্রমণের দিকেই। এখনও পর্যন্ত গোটা রাজ্যে মাত্র ১১৫ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন, জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তর।
🔶 কোথায় দাঁড়িয়ে রাজ্য?
মার্চ থেকে জুন পর্যন্ত ১৩ সপ্তাহে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ডেঙ্গি সংক্রমণের সংখ্যা ১১৫। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ৪৫% কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সচেতনতা, আবহাওয়াগত শুষ্কতা এবং মশা নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ এই নিম্ন সংখ্যার পেছনে বড় ভূমিকা নিয়েছে।
📊 জেলা অনুযায়ী ডেঙ্গি আক্রান্তের পরিসংখ্যান:
| জেলা | আক্রান্ত (মার্চ–জুন ২০২৫) |
|---|---|
| কলকাতা | ২২ |
| উত্তর ২৪ পরগনা | ১৮ |
| হাওড়া | ১৪ |
| দক্ষিণ ২৪ পরগনা | ১০ |
| হুগলি | ৮ |
| অন্যান্য জেলা | ৪৩ |
দেখা যাচ্ছে, শহরাঞ্চলে ডেঙ্গির প্রভাব বেশি, যার জন্য দায়ী অপর্যাপ্ত নিকাশি ব্যবস্থা ও জমে থাকা জল।
🔧 রাজ্য সরকারের উদ্যোগ
- সচেতনতা প্রচার: স্কুল, হেলথ সেন্টার, রেডিও-টিভিতে প্রচার।
- লার্ভিসাইড স্প্রে ও ফগিং: নিয়মিতভাবে মশা নিয়ন্ত্রণ।
- জেলা হেল্পলাইন: জ্বর বা উপসর্গে দ্রুত যোগাযোগের পরামর্শ।
- স্বাস্থ্য ক্যাম্প: NS1/ELISA টেস্ট এবং চিকিৎসা পরিষেবা।
- স্কুল সতর্কতা: ফুলহাতা জামা, সকাল সকাল ছুটি।
🔍 বিশেষজ্ঞদের মত
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. অর্ণব চক্রবর্তী বলেন, “এখন সংক্রমণ কম থাকলেও বর্ষায় পরিস্থিতি দ্রুত বদলে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।”
তাঁর পরামর্শ:
- ঘরের ভিতরে ও বাইরে জমে থাকা জল সরান
- ফুলদানি, ফ্রিজের নিচের ট্রে, বালতিতে জল জমতে দেবেন না
- মশারি ও ফুলহাতা জামাকাপড় ব্যবহার করুন
👪 নাগরিকদের করণীয়
- পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা
- জমে থাকা জল নিষ্কাশন
- বালতি/ট্যাঙ্ক ঢেকে রাখা
- মশারোধী ক্রিম ও নেট ব্যবহার
- উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ
🔚 উপসংহার
ডেঙ্গি প্রতিরোধে সরকারের উদ্যোগ সঠিক পথে থাকলেও নাগরিকদের সচেতনতা ও সক্রিয়তা ছাড়া এই লড়াই অসম্পূর্ণ। বর্ষা আসার আগেই প্রয়োজন প্রস্তুতি ও সতর্কতা, যাতে ডেঙ্গির বিপর্যয় রোধ করা যায়।