🌧 বাংলায় জোরেশোরে বর্ষা - উত্তর থেকে দক্ষিণ, টানা বৃষ্টির পূর্বাভাস
প্রতিবেদক: অর্ণব মুখোপাধ্যায় | | কলকাতা
অবশেষে বাংলার আকাশে মেঘের ঘনঘটা আর জলের ধারায় স্পষ্ট হয়ে গেল - বর্ষা এসে গেছে। গতকাল রাত থেকেই উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় শুরু হয়েছে প্রবল বর্ষণ। আর আজ সকাল থেকেই কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে বৃষ্টির ছোঁয়া।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা ধরে রাজ্যের প্রায় সব অঞ্চলেই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চল ও দক্ষিণবঙ্গের নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি
দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ারের পাহাড়ি এলাকাগুলোতে গত রাত থেকেই চলছে অবিরাম বৃষ্টি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, কিছু কিছু জায়গায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। প্রশাসন ইতিমধ্যেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো থেকে মানুষজনকে সরিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে।
উত্তরবঙ্গের সমতল ভূমি যেমন কোচবিহার, মালদা এলাকায়ও মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। নদীর জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে সেচ দপ্তর।
দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির খবর
কলকাতা শহরে আজ সকাল থেকেই আকাশ ছিল মেঘলা। দুপুরের দিকে শুরু হয় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ করে যাদবপুর, টালিগঞ্জ, বেহালা, বেলগাছিয়া অঞ্চলে জল জমতে দেখা গেছে।
হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতেও বিকেল নাগাদ বৃষ্টির তীব্রতা বাড়ে। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, আগামীকাল আরও বেশি বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে।
প্রশাসনের প্রস্তুতি
- কলকাতা পুরসভা জল নিষ্কাশনের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে
- উত্তরবঙ্গের পার্বত্য জেলাগুলোতে ধস প্রতিরোধী ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে
- নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে বন্যা পূর্বাভাস ব্যবস্থা সচল রাখা হয়েছে
- সমস্ত জেলায় বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে
নাগরিকদের জন্য পরামর্শ
বৃষ্টি ও সম্ভাব্য বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সাধারণ মানুষকে কিছু সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছে প্রশাসন:
- অপ্রয়োজনে বাড়ির বাইরে বের না হওয়া
- বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকা
- জল জমে থাকা রাস্তা এড়িয়ে চলা
- জরুরি প্রয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করা
- গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ও ঔষধপত্র নিরাপদ স্থানে রাখা
কৃষি ক্ষেত্রে প্রভাব
এই বৃষ্টি কৃষি ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্ষার সময়মতো আসায় ধান চাষের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তবে অতিবৃষ্টি হলে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্র থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
পরিবহন ব্যবস্থা
বৃষ্টির কারণে কলকাতার কিছু রাস্তায় যানজট দেখা দিয়েছে। শহরতলি ট্রেনগুলো স্বাভাবিক চললেও কিছু ট্রেনের সময়সূচিতে পরিবর্তন এসেছে। বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সব উড়ান স্বাভাবিক রয়েছে।
Good news
উত্তরমুছুন